পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর পৌরসভার আলামকাঠী এলাকার মিলন সেখ নামে এক ট্রাক চালক বাগেরহাটে হাড় ভাঙ্গার অপ-চিকিৎসায় পঙ্গু হয়ে যাওয়ার মামলায় ২ আসামীকে জেলা হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহা: হেলাল উদ্দিন এর আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের জেলা হাজতে প্রেরণ করেন।
জেলা হাজতে পাঠানো আসামীরা হলেন বাগেরহাট শহরের হাড়িখালী এলাকার সুলতান মোল্লার পুত্র মুকুল মোল্লা (৪৫) এবং বাগেরহাট পৌর শহরের হরিনখানা এলাকার লতিফ ইঞ্জিনিয়ারের পুত্র এমাদুল হক (৪৭)। তারা বাগেরহাটের পৌরসভার হাড়িখালী এলাকায় হাড় ভাঙ্গার একটি চিকিৎসায় কেন্দ্র পরিচালনা করতেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আবু সালে মোহাম্মদ ওমান জানায়, একটি ভুয়া ডাক্তার চক্র মিলন সেখ নামে ভিকটিমকে চিকিৎসার নামে অপ-চিকিৎসা দিয়ে তার পা পঙ্গু করে ফেলে। ভিকটিম পঙ্গু মিলন সেখকে বাগেরহাটের হাড়িখালি নামক স্থানে একটি বাসায় আটকে রেখে দফায় দফায় টাকা হাতিয়ে নেয়া।অপচিকিৎসায় মিলনের পা পঙ্গু হয়ে যায়। মিলনের স্ত্রী বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারী পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে তদন্ত প্রতিবেদন শেষে আজ আদালত আসামীদের জেল হাজকে পাঠায়। এ মামলার বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবী পরিবারের।
মামলার বাদী ডলি আক্তার জানায় তার স্বামী পঙ্গু মিলন সেখ একজন ট্রাক চালক।
সড়ক দূর্ঘটনায় তার ম্বামীর দ’পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে তারা ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসার করার পরে আসামীরা ভুয়া একটি ডাক্তার চক্র তাদের ঢাকা থেকে বাগেরহাটে নিয়ে আসে। ভুয়া ডাক্তার চক্রটি কম টাকায় চিকিৎসা করার নামে বাগেরহাটে একটি বাসায় রেখে তাদের জিম্মি করে দফায় দফায় কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। মামলার প্রধান আসামী মো: মনিরুজ্জামান, মুকুল মোল্লা, এমাদুল হক, তুহিন চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে পঙ্গুপ্রায় রোগীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। আমরা বাকি আসামদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবী জানাই।
এ ঘটনায় আসামী পক্ষের এ্যডভোকেট বা স্বজন কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।