তৃণমূল প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার চাঞ্চল্যকর উজ্জ্বল অধিকারী(২০) হত্যা মামলার প্রধান আসামী উত্তম অধিকারী(৩৫)কে মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে র্যাব-৮,বরিশাল কর্তৃক গ্রেফতার।
র্যাব-৮, বরিশাল, সিপিএসসি কোম্পানী আভিযানিক দল গতকাল রবিবার (৪ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানাধীন পাখিমারা এলাকা হতে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামী মঠবাড়িয়ার বেতমোর রাজপাড়ার, অনিল অধিকারীর ছেলে, উত্তম অধিকারী কে(৩৫) আটক করে।
উল্লেখ্য যে, গত পহেলা ফেব্রুয়ারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে, আসামী উত্তম অধিকারী গং নিহত উজ্জ্বল অধিকারীর বসত ঘরের সামনে এসে তার পরিবারকে গালমন্দ শুরু করার একপর্যায়ে তাদের কে এলোপাথারীভাবে মারপিট শুরু করে নিহত উজ্জ্বল মারধর করতে দেখে প্রতিবাদ করায়। আসামী উত্তম, গৌতম, সুশিল, মিল্টন, সুমা, কাগুতি অধিকারী, রবিন অধিকারী ননী গোপাল অধিকারী ও রতন অধিকারীগন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে, আসামী উত্তম অধিকারীর হাতে থাকা কুড়াল দ্বারা নিহত উজ্জল অধিকারীকে হত্যা উদ্দেশ্যে মাথা কুড়াল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর যখন করলে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ০২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
পরবর্তীতে সজল অধিকারী (২৫) বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় দন্ড বিধির আইনে ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৫/৩৬ তারিখ ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং।
উক্ত হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ঘটনা টি এলাকায় ভীতি সঞ্চার ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। তখন থেকেই উক্ত ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-৮ (সিপিএসসি ক্যাম্প) গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে। র্যাব-৮,সিপিএসসি কোম্পানী বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান সনাক্ত করে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উল্লেখিত আসামীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এই নেক্কার জনক হত্যাকাণ্ডের মূল আসামী র্যাবের হাতে আটক হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানান র্যাব ৮ এর কর্মকর্তারা। তারা আরও জানান, এঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামি দেরও গ্রেফতারের কাজ চলমান রয়েছে।